থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগের চাপ
রফিকুল ইসলাম, উখিয়া : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংড়ু, বুচিডং ও রাচিডং এলাকার বাইরে নতুন করে মাম্রি এলাকায় থাকা কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখে না খাইয়ে দেশ ছাড়া করার চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকাগুলো থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নির্যাতন চলছেই। যেসব রোহিঙ্গা এখনো রাখাইনে রয়েছে তাদের জোরপূর্বক না খেয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারি মহাসচিব অ্যান্ড্রু গিলমোর। চলতি সপ্তাহে দুই দিন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এইসব তথ্য দেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। জাতিগত নিধনের শিকার এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অভিযোগ তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার।
অ্যান্ড্রু গিলমোর বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন এখনো চলমান। সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে গণমাধ্যম গুলোকে এড়িয়ে সফর শেষে ফিরে গিয়ে বৈশ্বিক গণমাধ্যম গুলোকে অ্যান্ড্রু বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝতে পেরেছি, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ধরন বদলেছে। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নির্যাতনের নতুন পন্থা হিসেবে তাদের না খেয়ে রাখা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই সহকারী মহাসচিব বলেন, এদিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যার্পন নিয়ে আলোচনা ও চুক্তি করলেও সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়নের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অ্যান্ড্রু গিলমোর বলেন, মিয়ানমার সরকারের এই আচরণ রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদে ও স্থায়ীভাবে রাখাইন প্রদেশে ফিরে যাওয়া কঠিন হবে। গিলমোর আরও বলেন, একদিকে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে, অন্যদিকে সীমান্তে সেনাবৃদ্ধি করে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে থাকা রোহিঙ্গাদের নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে উত্তেজনা তৈরি করছে।
এদিকে রাখাইনে এখনও যেসব রোহিঙ্গা রয়ে গেছে তারা জানিয়েছে, বর্তমানে প্রকাশ্যে সেনাদের নির্মম নির্যাতন না থাকলেও তাদের প্রশ্রয়ে থাকা রাখাইন উগ্রবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে রাখাইনের বুচিডং, রাচিডং এলাকা ছাড়াও নতুন ভাবে মাম্রি এলাকায় রাতের অন্ধকারে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, গরু মহিষ ও অনান্য গবাদিপশু লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেনা, বিজিপি ও রাখাইন নাটালা সন্ত্রাসীরা এখনো কিছু কিছু এলাকায় থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের ঘর বাড়ি থেকে বের কোথাও যেতে দিচ্ছে না। হাট বাজারে যেতে না পেরে কোন আয় রোজগার করতে পারছে না এসব রোহিঙ্গারা। নিজেদের ঘর বাড়ি মেরামত, সংস্কার করার সুযোগও দেয়া হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।
- চকরিয়ার নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমানের যোগদান
- চকরিয়ায় মহামারি প্রার্দুভাব মোকাবেলায় গৃহপালিত তিন শতাধিক গরু-ছাগলকে টিকাদান
- চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
- চকরিয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী ওষুধ কোম্পানির ম্যানেজারসহ তিনজন নিহত
- চকরিয়া ক্বিরাত সংস্থার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
- চকরিয়ায় ডাম্পা,ট্রাক-মোটরসাইকেলের ত্রি-মূখি সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-২
- ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরন
- পোকখালীতে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই নিহত
- চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসিদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু
- চকরিয়ায় মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত
- অক্টোবর মাসে ৪৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত, আহত ৮১৫ -যাত্রী কল্যাণ সমিতি
- চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসিদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু
- চকরিয়া উপজরলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকাল
- টেকনাফে সাবেক ওসি রনজিতের অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কক্সবাজারের সন্তান এ এম এম নাসির উদ্দীন
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
- জেলায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার পরিবার
- চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে আ.লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ
- চবি ছাত্রশিবিরের ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
- কক্সবাজারে নানা আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
- চকরিয়ায় উৎসবমুখর আমেজে নতুনকুঁড়ি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- কানাডায় স্ত্রী-সন্তানকে রেখেই প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের পিড়িতে চকরিয়া নুর!
পাঠকের মতামত: